নড়াইল প্রতিনিধিঃ শরিফুল ইসলাম মুকুল খান বাড়ি সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের তুলারাম পুর গ্রামে। তার বাবা ছিলেন এক জন কৃষক। দিন আনা দিন খাওয়া এই পিতা অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। তারই পুত্র মুকুল। আজ সেই মুকুল খান কোটি পতি।

তিনি যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন। যশোর তৈরী করেছেন বিলাসবহুল৷ ৩টি বাড়ি। নিজ গ্রামে ও গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। নাম- বে নামে গড়ে তুলেছেন সম্পদ। তার এই হঠাৎ করে বেড়ে ওঠা দেখা এলাকাবাসী বিস্মিত হয়ে পড়েছে। তার সম্পতি যেন জেলার গন্ডি পার হয়ে ভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। হিন্দু সংখ্যা লঘুদের জমি জবর দখলের পায়তারা করার ও অভিযোগ রয়েছে মুকুল খান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে।

এলাকায় ভূমিদস্যু নামে ও তিনি পরিচিতি লাভ করেছে। জামাত, বি এন বি পন্ধী এই মুকুল খান টাকার বলিয়ানে বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা বনে গেছে। ইউনিয়নের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতারা জানান,যে পরিবারের নামে জামাত বিএনপির জ্বালাও -পোড়াও মামলা রয়েছে তারা কি ভাবে আওয়ামী লীগের পদ পদবী পায়।

এই নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় গুন্জন রয়েছে কালো টাকার প্রভাবে আওয়ামী লীগের কতিপয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকে নগত নারায়ণে তুষ্ট করে এই আওমীলীগের পদ পদপদবী পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করতে চান ।

অনেকে বলেন অবৈধ সম্পদের জোরে এলাকায় মুঠো মুঠো টাকা ছড়ি মানুষের মন জয় করার প্রয়াস করছে। বাস্তবে তার কোন জনপ্রিয়তা নেই । আওয়ামী লীগের ঘাটি তুলারাপুর ইউনিয়নে কোন ভাবেই মুকুল খানকে ভোট দেবে না বলে জনান স্থানীয় একটি মহল।

এলাকাবাসী তার অবৈধ সম্পদের তদন্ত পূর্বক সত্যতা উৎঘটনের দাবি জানিয়েছেন। অনেকের ধারনা দুদকের তদন্ত হলে বেরিয়ে আসতে পারে থলের বিড়াল।